ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ গ্রেপ্তার
নিজস্ব প্রতিবেদক:
দৈনিক বাংলার দিগন্ত
রাজধানীর উত্তরা এলাকা থেকে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান কার্যনির্বাহী সদস্য মো. শাহে আলম মুরাদকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
ডিবি সূত্রে জানা গেছে, শাহে আলম মুরাদ রাজধানীর উত্তরা এলাকায় অবস্থান করছিলেন। সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে কী অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তা এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করেনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড, আর্থিক অনিয়ম অথবা ভিন্ন কোনো মামলার জেরে এই গ্রেপ্তার হতে পারে। তবে তদন্তের স্বার্থে ডিবি এখনই বিস্তারিত কিছু জানাতে নারাজ।
শাহে আলম মুরাদ দীর্ঘদিন ধরে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি দলীয় রাজনীতিতে পরিচিত ও প্রভাবশালী মুখ হিসেবেই বিবেচিত হয়ে আসছিলেন। তার হঠাৎ গ্রেপ্তারে রাজনৈতিক অঙ্গনে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। দলের অভ্যন্তরে অনেকে বিষয়টি নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানালেও কেউই আনুষ্ঠানিকভাবে মুখ খুলতে চাননি। তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে ইতোমধ্যেই আলোচনা শুরু হয়েছে।
এ গ্রেপ্তারের ফলে শুধু আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতেই নয়, বরং বৃহত্তর রাজনৈতিক পরিসরেও কিছুটা প্রতিক্রিয়া দেখা যেতে পারে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন। আগামী স্থানীয় ও জাতীয় রাজনীতিতে এই ঘটনাকে ঘিরে নানা গুঞ্জন ও বিতর্কের সৃষ্টি হতে পারে। ডিবি পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে এবং তদন্তের অগ্রগতি অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানান, “বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে এবং আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।” মো. শাহে আলম মুরাদ এক সময় দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন এবং দলের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন। তিনি স্থানীয় পর্যায়ে প্রভাবশালী নেতা হিসেবে পরিচিত।ঘটনার পর থেকে উত্তরা ও আশপাশের এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। গ্রেপ্তারের ঘটনায় দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে।