মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া আধিপত্য বিস্তারের জের ধরে দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় উভয় পক্ষের অন্তত ৯ জন আহতহয়েছে।
মোঃ দুলাল সরকার
মুন্সিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি
এ সময় ৮টি বসতঘরে হামলা, ভাংচুর এবং লুটপাটের ঘটনা ঘটে বলে ভুক্তভোগীরা জানায়। শনিবার (৫ এপ্রিল ) দুপুর তিনটার দিকে উপজেলার হোসেন্দী ইউনিয়নের মার্ডারের চর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে বলে জানা যায়।
স্থানীয় কয়েকজনের সাথে কথা জানা যায়, আধিপত্য বিস্তার-সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে হোসেন্দী ইউনিয়নের মার্ডারের চর গ্রামের হুমায়ূন গ্রুপের সাথে চর বলাকী গ্রামের মাহফুজ প্রধান গ্রুপের বিরোধ চলছিল। আধিপত্য বিস্তারের জেরে ২০১৬ সালের ১৪ জুলাই চর বলাকী গ্রামে একদিন পাঁচজনকে খুন করা হয়। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলার বিচারিক কার্যক্রম শেষের দিকে হওয়ায় বিষয়টা নিয়ে বাদী-বিবাদী উভয় পক্ষই তৎপর হয়ে উঠেছে। হুমায়ূন গ্রুপের লোকজনের সাথে বাদী পক্ষের এবং মাহফুজ প্রধান গ্রুপের সাথে বিবাদী পক্ষের সখ্যতা রয়েছে। এদিকে শনিবার (৫ এপ্রিল) মার্ডারের চর গ্রামের হুমায়ূন তার গ্রুপের লোকদের খাওয়ানোর জন্য তার বাড়িতে আয়োজন করে। সেখানে হামলা চালায় মাহফুজ গ্রুপের লোকজন।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী হুমায়ূনের বড় ভাই মোহাম্মদ লিটু বলেন, দুপুর তিনটার দিকে আমাদের লোকজন যখন খেতে বসেছে তখন মাহফুজ গ্রুপের ৬০/৭০জন লোক আমাদের উপর হামলা চালায়। তাদের সবার হাতে দেশীয় অস্ত্র ছিলো। হামলায় আমাদের সাতজন লোক আহত হয়। অতর্কিত হামলায় আমাদের লোকজন ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। এই সুযোগে তারা ৮/৯টি বাড়িঘরে ব্যাপক ভাঙচুর চালিয়ে মূল্যবান মালামাল লুটপাট করে নিয়ে যায়। হামলাকারীরা আমি আমার একটি বসতঘর সহ, হুমায়ূন, সুমন, সোহেল, দীপু , আসাদুজ্জামান ও আনিসের বসতঘরে ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। কি পরিমাণ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা আপনাদের পরে জানাতে পারবো’।
এদিকে হামলায় আহত মাহফুজ গ্রুপের আনোয়ার প্রধান বলেন, ‘ আমরা বিএনপি করি। আজকে দুপুরে শুনলাম স্থানীয় আওয়ামী লীগের লোকজন হুমায়ূনের বাড়িতে গোপন বৈঠক করছে। আমরা গিয়েছিলাম তাদের নিষেধ করতে কিন্তু তারা অতর্কিতভাবে আমাদের উপর হামলা চালায়’।